
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে কাজল রেখা (৫০) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর ফ্ল্যাট দখলের সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে এ ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ চেয়ে চেয়ে জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নারী। এসময় তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
ভুক্তভোগী কাজল রেখা চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর গ্রামের কুরী পাড়ার বাতাসি বিল্ডিংয়ের মালিক ও ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী ফখরুল ইসলামের স্ত্রী।
কাজল রেখা অভিযোগ করে বলেন, বিগত সরকারের সময় বেগমগঞ্জ-৩ আসনের পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণের ঘনিষ্ঠ সহযোগী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নূর হোসেন মাসুদ প্রকাশ মাটি মাসুদ আমার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে জবরদখল করেন। পরে ৫ আগস্টের পর মাসুদ পালিয়ে গেলে আমি আমার ফ্ল্যাট দখলে নিই। বর্তমানে মাটি মাসুদের পক্ষ হয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার ওই ফ্ল্যাটটি আবারও দখল করে নিয়েছেন। আমি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সব জায়গায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।
কাজল রেখা আরও বলেন, ‘মনে করেছিলাম ফ্যাসিস্টরা পালিয়ে গেলে শান্তিতে থাকবো। কিন্তু এখন ওদের আমলের চাইতেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে আছি। জেলা যুবদল সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমনের লোক পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী সবুজ, মামুন, সাগর, সোহেল ও কুরী সুজনের নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় আছি। আমি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে উপযুক্ত বিচার চাই।’
অভিযুক্ত জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। তবে আমার সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু ও বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাখ্যা চন্দ্র দাসের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। তারাই ইন্ধন দিয়ে আমার সুনাম নষ্ট করতে এমন অভিযোগ তৈরি করেছেন।
জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাখ্যা চন্দ্র দাস বলেন, কোথায় কোন নারীর ফ্ল্যাট দখল হয়েছে তা আমি জানি না। সংবাদ সম্মেলনে কারা কি অভিযোগ করেছেন তাও জানি না। এতে আমার দলের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কারণ আমাদের নেতা তারেক রহমান অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, নতুন অভিযোগ আমি পাইনি। তবে কয়েকমাস আগে এমন একটি অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখানে স্থানীয়ভাবে বসে মিমাংসার কথা বলা হয়েছিল।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, কেউ কোনো অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়। এ বিষয়টিও ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।