চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বহিষ্কার না করলে আওয়ামী লীগকে কখনোই এ দেশের জনগণ ক্ষমা করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা গায়ের জোরে আওয়ামী লীগকে বহিষ্কারের কথা বলতে পারি না। তবে যে অন্যায় তারা করেছে তার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে জনগণ তাদেরকে আগামী নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করতে দিবে না।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরায় কবি জসীম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও তার পরিবারের দখল চাঁদাবাজিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল স্থানীয় অধিবাসীরা। একদিকে ওবায়দুল কাদের ও তার স্ত্রী এবং অন্যদিকে কাদের ভাই মির্জা কাদের ও তার স্ত্রীর আলাদা আলাদা চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট ছিল।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় যারা বড় সন্ত্রাসী ছিল। মির্জার প্রিয়পাত্র ছিল তারা। সিরাজপুরে নাজিম উদ্দিন মিকন নামে এক সন্ত্রাসীকে ইউপি চেয়ারম্যান বানিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল মির্জা। এখন তারা কোথায়? মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। এটা আমাদেরও মনে রাখতে হবে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ৫ আগস্টের পর এলাকায় আমাদের দলের নাম বিক্রি করে বিভিন্ন অপরাধের তথ্য আসছে। চরফকিরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুচ্ছগ্রামে বিএনপি নামধারী সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা এরশাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি করছি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামি নির্বাচনের কঠোরতা নিয়ে বারবার হুশিয়ারী দিচ্ছেন। যারা এখনো সতর্ক হচ্ছেন না তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। যতোবড় নেতাই হোন না কেন দলের প্রশ্নে আপোষ নাই। অপরাধ প্রমাণ হলে শাস্তি পেতেই হবে।
অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আবদুল খালেক ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি নেতা আফতাব আহমেদ বাচ্চু, আনিছুল হক, একরামুল হক মিলন মেম্বার, চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শমসের হোসেন হেলাল, বিএনপি নেতা হাজী শাহজাহান, আবুল কালাম মেম্বার, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জসিম উদ্দিন টিপু, মহিন উদ্দিন ছোটন, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন শাহীন, ছাত্রদল নেতা আজিজ আজমির প্রমুখ।
পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পাঁচ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়। এরআগে সকালে বসুরহাট পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দুইশ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।