
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির (শায়খে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার যৌথ প্রচেষ্টায় ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শিরোনামে এ আন্দোলন হলেও সমাজে এখনো বৈষম্য বিদ্যমান। নব্য চাঁদাবাজদের রুখতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বরিশাল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি এম এম সালাউদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমদ মানসুর।
ফয়জুল করীম আরও বলেন, ’৭১-এর স্বাধীনতার পর থেকে ইসলামপন্থিরা সব চেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। আগামীতে এমনটা হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। এ জন্য ছাত্রজনতাসহ সর্বস্তরের মানুষকে সবসময় অধিকার আদায়ের আন্দোলনের প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে দেশ হবে ইসলামপন্থিদের দেশ। এর জন্য সবাইকে যথেষ্ট পরিমাণ যোগ্য হতে হবে।’
প্রধান বক্তা ইউসুফ আহমদ মানসুর বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-পরবর্তী সময়েও দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বৈষম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট সরকার হঠানোর পরও এখন লুটপাট, চাঁদাবাজি চলছে। বিশেষ করে আন্দোলনে শহিদ হওয়া ভাইদের পরিবার ও আহত ভাইদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। অসহায় অনেক ছাত্র বিনা চিকিৎসায় কাতরাচ্ছে। অনেক শহিদ পরিবার এখনো যথেষ্ট সম্মান ও অনুদান পায়নি। এমনটা হতে থাকলে এ আন্দোলন ব্যর্থ হিসেবে বিবেচিত হবে।’
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, তথ্য গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুহাম্মাদ ফয়জুল ইসলাম, বরিশাল মহানগর সভাপতি প্রফেসর লোকমান হাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ হাফিজুর রহমান, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি গাজি মুহাম্মাদ ওসমান গনী, যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ সানাউল্লাহ।