
প্রতিদিনই অবনতি হচ্ছে রাজধানী ঢাকার বায়ুর মান। দূষণ কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। প্রতিটি নিঃশ্বাসে বিষাক্ত বায়ু নিচ্ছে নগরবাসী। বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে ঢাকায় বৃহস্পতিবার ও আগের দিন বায়ুদূষণে ছিল শীর্ষে। তবে গতকালের দূষণ ছিল ভয়ানক। বাতাসের মান সূচক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ৩৯২। বাতাসের এ মান ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবারের শীত মৌসুমে ঢাকার বাতাসের এমন অবস্থা এই প্রথম।
দূষণের তালিকায় মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর, ভারতের কলকাতা এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে– ২২৯, ২১৫ ও ২০৬ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে ছিল। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে বিশ্বের অন্য দেশগুলো জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে থাকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বায়ুদষূণের কারণে কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। রাজধানীর বায়ুদূষণের প্রধান উৎস যানবাহন ও কলকারখানার দূষিত ধোঁয়া আর ইটভাটা। এসব উৎস বন্ধে সরকারি উদ্যোগগুলো কার্যকর হচ্ছে না বলেই মনে করছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান একিউআই। তাদের তালিকায় গতকাল ঢাকার ১০টি এলাকার বায়ুদূষণের অবস্থা সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা হয়। এই ১০ এলাকার মধ্যে আট এলাকার বাতাস ‘ঝুঁকিপূর্ণ’। অর্থাৎ, এসব এলাকার স্কোর ৩০০-এর ওপরে। এর সবচেয়ে দূষিত বাতাস ছিল মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায়। সেখানে বাতাসের একিউআই স্কোর ৫৫১।
এর পর যথাক্রমে– মার্কিন দূতাবাস এলাকা (৫৩৯), গুলশান ২-এর রব ভবন এলাকা (৪৮৫), আগা খান একাডেমি এলাকা (৪৩৫), তেজগাঁওয়ের শান্তা টাওয়ার এলাকা (৩৯৭), মহাখালীর আইসিডিডিআর,বি এলাকা (৩৯২), সাভারের হেমায়েতপুর (৩২৮) এবং গুলশানের গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এলাকা (৩১০)।
একিউআইর মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা তাৎক্ষণিক একিউআই একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সেই সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে। একিউআইর দেওয়া গতকালের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। গতকাল ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা ছিল, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ৫০ গুণেরও বেশি। বাতাসে এ অবস্থা থাকায় সবার জন্য পরামর্শ, বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। তাদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। ২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো– ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিবার যা ছিল, তা এ বছরের সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, কোনো এলাকায় পরপর তিন দিন তিন ঘণ্টা যদি বায়ুর মানসূচক ৩০০-এর বেশি।
দূষণের তালিকায় মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর, ভারতের কলকাতা এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে– ২২৯, ২১৫ ও ২০৬ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে ছিল। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে বিশ্বের অন্য দেশগুলো জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে থাকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
তবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বায়ুদষূণের কারণে কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। রাজধানীর বায়ুদূষণের প্রধান উৎস যানবাহন ও কলকারখানার দূষিত ধোঁয়া আর ইটভাটা। এসব উৎস বন্ধে সরকারি উদ্যোগগুলো কার্যকর হচ্ছে না বলেই মনে করছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান একিউআই। তাদের তালিকায় গতকাল ঢাকার ১০টি এলাকার বায়ুদূষণের অবস্থা সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা হয়। এই ১০ এলাকার মধ্যে আট এলাকার বাতাস ‘ঝুঁকিপূর্ণ’। অর্থাৎ, এসব এলাকার স্কোর ৩০০-এর ওপরে। এর সবচেয়ে দূষিত বাতাস ছিল মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায়। সেখানে বাতাসের একিউআই স্কোর ৫৫১।
এর পর যথাক্রমে– মার্কিন দূতাবাস এলাকা (৫৩৯), গুলশান ২-এর রব ভবন এলাকা (৪৮৫), আগা খান একাডেমি এলাকা (৪৩৫), তেজগাঁওয়ের শান্তা টাওয়ার এলাকা (৩৯৭), মহাখালীর আইসিডিডিআর,বি এলাকা (৩৯২), সাভারের হেমায়েতপুর (৩২৮) এবং গুলশানের গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এলাকা (৩১০)।
একিউআইর মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা তাৎক্ষণিক একিউআই একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সেই সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে। একিউআইর দেওয়া গতকালের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। গতকাল ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা ছিল, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ৫০ গুণেরও বেশি। বাতাসে এ অবস্থা থাকায় সবার জন্য পরামর্শ, বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। তাদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। ২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো– ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিবার যা ছিল, তা এ বছরের সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, কোনো এলাকায় পরপর তিন দিন তিন ঘণ্টা যদি বায়ুর মানসূচক ৩০০-এর বেশি।