পুরুষদের চেয়ে নারীরা কেন ডিপ্রেশনে বেশি ভোগেন?

আপলোড সময় : ০৬-১২-২০২৪ ০৭:৫১:৩২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৬-১২-২০২৪ ০৭:৫১:৩২ অপরাহ্ন
জীবনে কখনো সখনো ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতায় কমবেশি সবাই ভোগেন। তবে দীর্ঘমেয়দী এ সমস্যায় ডেকে আনে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন ব্যাধি। আবার অনেকে ডিপ্রেশনে ভুগে আত্মঘাতীও হয়ে পড়েন। এটি মূলত একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক অসুস্থত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, অক্ষমতার অন্যতম প্রধান কারণও এই ডিপ্রেশন। গবেষণা বলছে, ডিপ্রেশন যে কোনো শ্রেণির মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। গবেষণা আরও জানাচ্ছে, নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি বিষণ্নতায় আক্রান্ত হন।

তবে কেন এমনটি হয়?
বর্তমানে নারীরা মাল্টিটাস্কিংয়ে বিশ্বাসী। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাল্টিটাস্কিং একজন পুরুষের জন্য যেমন কঠিন ও ক্লান্তিকর, ঠিক তেমনই একজন নারীর জন্যও। বিশ্রামের অভাব, অন্যের চাহিদাকে নিজের উপরে রেখে ও সর্বদা উৎপদনশীল হওয়ার প্রত্যাশায় বেঁচে থাকার কারণে একজন নারী আজ সবচেয়ে বেশি হতাশার শিকার।

এছাড়া জৈবিক, হরমোনজনিত ও সামাজিক চাপও বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়ায়। শুধু তাই নয়, অনেক নারীরাই ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে থাকলে বিষণ্নতায় চলে যান। এছাড়া অনেকে আবার সন্তান জন্মের পরেও বিষণ্নতা বা মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন।

একনাগাড়ে হাঁচি হলে দ্রুত যা করবেন
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন অনেক কারণ রয়েছে, যা বিশেষত নারীদের মধ্যে বিষণ্নতা সৃষ্টি করে। এমন পরিস্থিতিতে নারীদের নিজের মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

এমনকি বর্তমানে বেশিরভাগ নারীই জানেন না যে তারা বিষণ্নতার শিকার। ফলে সময়মতো এর চিকিৎসা করা হয় না ও সমস্যা আরও বাড়ে। তাই সময় থাকতে এগুলোকে চিহ্নিত করা জরুরি।

নারীদের ডিপ্রেশনের লক্ষণ কী কী?
>> বিরক্তিভাব
>> অনিদ্রা ও ক্লান্তি
>> ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া
>> কাজের প্রতি অনাগ্রহ
>> নেতিবাচক চিন্তা ও অতিরিক্ত চিন্তা
>> নিজের যত্ন না করা
>> একাকিত্ব
>> স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া
>> ফোকাস করতে সমস্যা
>> খাবারে অরুচি
>> মেজাজ পরিবর্তন ইত্যাদি।

এসব সমস্যা দেখা দিলে নারীদের কিছু বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত, যেমন-

ডিপ্রেশন এড়াতে যোগব্যায়াম ও ধ্যানের সাহায্য নিন। এটি বিষণ্নতা নিরাময়ে বেশিরভাগ থেরাপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রথম পদক্ষেপেই আপনি যোগব্যায়াম ও ধ্যানের সাহায্য নিতে পারেন। গুরুতর ক্ষেত্রে, অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ খেতে পারেন। তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে। এজন্য একজন ভালো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক: নূরুল কবির
ঠিকানা: ৯৯/১ সোহরাওয়ার্দী এভিনিউ, বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোন, ঢাকা ১২১২।
ইমেইল: [email protected]


অফিস :