জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি সিলেবাস সংস্কার করে কর্মমুখী শিক্ষার চর্চা শুরু হলে বিদেশে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ্।

তিনি বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তির সিলেবাস সংস্কারের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হলে তারা দ্বিগুণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠাতে পারবে। এর মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের ১শ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বাড়ানো সম্ভব।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে (আইএসটি) সোমবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একথা বলেন।

উপাচার্য আমানুল্লাহ্ বলেন, ‘কোনো ধরনের সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই স্বউদ্যোগে দেশের ফ্রিল্যান্সাররা দেশকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত করেছেন। গার্মেন্টস শিল্পের পর এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। সম্ভাবনাময় এ শিল্পে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সবদিক থেকে পাশে থাকবে।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য জানান, অধিভুক্ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটির সিলেবাস সংস্কারের কাজ চলমান। সেজন্য দেশি-বিদেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ডগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক আলোচনা শুরু করেছে।

উপাচার্য আমানুল্লাহ্ বলেন, ‘এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে গত সপ্তাহে লন্ডনে ব্রিটিশ টেকনিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মিটিং করে এসেছি।’

এসময় তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, ল এবং বিএড কলেজগুলোতে শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং মনিটরিং বৃদ্ধির ব্যাপারে সতর্ক করেন।