নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভোট ডাকাতি করে এখানে বারবার এমপি হয়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডার দখলসহ সন্ত্রাস করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য।

ফখরুল ইসলাম বলেন, ওবায়দুল কাদের তার ক্ষমতার সময়ে ভাই-ভাগনেসহ পরিবারের লোকজন দিয়ে লুটপার করে হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। তার ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ছিল এলাকায় মূর্তমান আতঙ্ক। তাকে দিয়েই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতেন ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে গরীব অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলে তিনি।

ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, টেন্ডারবাজি, অবৈধ বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজি, অনিয়মসহ গণবিরোধী কাজ করে এলাকাছাড়া হয়েছে। এখন যদি কেউ ওইসব কাজে লিপ্ত হয় তাদের পরিণতিও একই হবে। এজন্য আমাদেরকে এখনি চাঁদাবাজ ট্ন্ডোরবাজ ও অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। কারণ দেশনায়ক তারেক রহমান যে নির্দেশনা দিয়েছে তা অমান্য করলে সে দলের যতোবড় নেতাই হোন না কেন তাকে শাস্তি পেতে হবে।

উপজেলা বিএনপির সদস্য মাস্টার আবু নাছেরের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা কাজী একরামুল হক, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান টিপু, কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন মেম্বার, আমেরিকা প্রবাসী কামাল উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নুর উদ্দিন ফাহাদ, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজ আজমীর, জিয়া মঞ্চের নেতা আলা উদ্দিন জিকু, ঢাকার ব্যবসায়ী হাজী রফিকুল ইসলাম, হাজী ইব্রাহিম প্রমূখ।