কোম্পানীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা
আপলোড সময় :
০৯-০১-২০২৫ ০৩:০৭:৫৯ অপরাহ্ন
প্রতিনিধি, সিলেট
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ঘরের সামনে থেকে তুলে নিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। পরে বিষয়টি ৩ লাখ টাকায় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। কিন্তু ভিকটিমের মা তাদের প্রলোভনে না পড়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেছেন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভিকটিমের মা কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে ওইদিনই মামলা রেকর্ড করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- ভোলাগঞ্জের ছানাফর আলীর ছেলে কালা মিয়া (৫০), নুরু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (২৫), ও ছটু মিয়ার ছেলে ফারুক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম তার পরিবারের সঙ্গে উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকার একটি কলোনিতে ভাড়ায় থাকেন। গত ৩ জানুয়ারি রাত ১২টার দিকে বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে ২/৩ জন মিলে তাকে মুখ চেপে ধরে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা রাত দুইটায় প্রধান অভিযুক্তের ভোলাগঞ্জের আবাসিক হোটেলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এ সময় ভিকটিম চিৎকার করলে তাকে মারধর করে তার পড়নে থাকা কাপড়চোপড় ছিড়ে ফেলে অভিযুক্তরা।
ভিকটিমের মা জানান, আমি এ এলাকার ভাড়াটিয়া, নিরীহ মানুষ। অন্য জেলার বাসিন্দা। আমার মেয়েকে তারা ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা ভালো হয়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম। আমার মেয়েটি অবুঝ। আমার মেয়ের মান সম্মান সব শেষ হয়ে গেছে। আমি এর বিচার চাই। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অভিযুক্তরা আমাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমি তাতে রাজি না হওয়ায় তারা আর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পারেনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা রেকর্ড করেছি। আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে। এছাড়া ভিকটিমের সঙ্গে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তা কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
কমেন্ট বক্স