শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সহজ উপায়
আপলোড সময় :
১১-১২-২০২৪ ০১:৪৭:২৬ অপরাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছোট শিশুদের ঘুম নিয়ে অনেক অভিভাবকই চিন্তায় পড়েন। অনেক বাচ্চা রাতে ঠিকমতো ঘুমায় না। যদি শিশু দিনের বেলায় একটা বড় সময় ধরে ঘুমায়, তাহলে তার রাতের ঘুম নাও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা ঘুম একটি শিশুর জন্য স্বাভাবিক।
বয়সভেদে এই ঘুমের চাহিদা ভিন্ন হয়ে থাকে। রাতের বেলায় কম ঘুমানো শিশুর জন্য মোটামুটি সাধারণ একটি ব্যাপার। কিন্তু রাতে না ঘুমানো বা কম ঘুমানো শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খারাপের পাশাপাশি বাবা মায়ের দৈনন্দিন জীবনের রুটিনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শিশুর ঘুমের সমস্যার সমাধান নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক। শিশুর ঘুম না আসার কারণ
বাচ্চার রাতে ঘুম না হওয়ার অনেক কারণই থাকতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণ তিনটি। সেগুলো হচ্ছে-
* ক্ষুধা বা অন্য কোনো কারণে ঘুমাতে না পারা
* শারীরিক অস্বস্তি বোধ করা
* মায়ের সান্নিধ্য বা স্পর্শ না পাওয়া
রাতে শিশুর ঘুম না আসা মা বাবার জন্য অনেক বিরক্তিকর।
শিশুর রাতের ঘুমকে আরামদায়ক ও নিয়মিত করার একটি পদ্ধতি হচ্ছে ফার্বার পদ্ধতি। কীভাবে এই পদ্ধতি কাজ করে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ফার্বার পদ্ধতি
শিশুকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘুমাতে অভ্যাস করানোর একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে ফার্বার পদ্ধতি। চিলড্রেনস হসপিটালের পেডিয়াট্রিক স্লিপ ডিসঅর্ডার সেন্টারের ডিরেক্টর রিচার্ড ফার্বারের নাম অনুসারে এই পদ্ধতির নামকরণ করা হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিশু নিজে নিজে ঘুমিয়ে পড়তে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।
যেভাবে কাজ করে এই পদ্ধতি
এই পদ্ধতিতে শিশুরা নিজে নিজেই কিছু নির্দিষ্ট কর্মকাণ্ড বা ঘটনাকে ঘুমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত মনে করে এবং রাতে জেগে ওঠার পর আবার ঘুমানোর জন্য একইরকম ঘটনা খোঁজে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, শিশুকে প্রতিরাতে ঘুমানোর জন্য যদি দোল দিতে হয় বা বুকের দুধ খাওয়াতে হয় তাহলে আপনার শিশু পুনরায় ঘুমানোর জন্য সেই একই জিনিসের অপেক্ষা করবে। ফার্বার পদ্ধতিতেও এভাবে কিছু সুনির্দিষ্ট ঘটনার সঙ্গে শিশুর ঘুমের পদ্ধতিকে সম্পর্কিত করতে হবে।
প্রথমে শিশুকে তার দোলনা বা বিছানায় শুইয়ে শুভরাত্রি বলুন এবং ঘর থেকে বেরিয়ে যান। যদি শিশু কান্না শুরু করে, তবুও ৫ মিনিট বাইরে অপেক্ষা করুন। পাঁচ মিনিট পর ঘরে ঢুকে তাকে দোলনা থেকে না উঠিয়েই শান্ত করুন। তারপর আবার ঘরের বাইরে চলে যান।
এবার ১০ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন তারপর ঘরে ঢুকে তাকে শান্ত করুন। এভাবে প্রতিবার সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে বাড়িয়ে শিশুকে অভ্যস্ত করুন। এতে করে শিশুর ঘুমের সঙ্গে দোলনা বা বিছানাটি সম্পর্কযুক্ত হয়ে ওঠে, আর সে বুঝতে শুরু করে যে তাকে এখানে ঘুমাতে হবে। ফলে কিছুদিন পর শিশু ওই নির্দিষ্ট বিছানায় গেলেই ঘুমিয়ে পড়তে অভ্যস্ত হয়।
ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে ফার্বার পদ্ধতি প্রায় তিন থেকে সাত দিনের মধ্যেই কার্যকর হতে পারে। এই পদ্ধতিতে শিশু ঘুমানোর সময় প্রথম কয়েকদিন কাঁদলেও এতে শিশুর ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।
অসুবিধা
শিশুর কান্না সহ্য করা যদি আপনার পক্ষে কঠিন হয় তবে এই পদ্ধতিটির মাধ্যমে সুবিধা পাওয়া আপনার জন্য কঠিন হতে পারে। কিছু শিশু ফার্বার পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হয় না। যদি আপনার শিশু ১৫ দিনের মধ্যে এটিতে অভ্যস্ত না হয়, তবে অন্য পদ্ধতি বেছে নিতে হবে। শিশুর ঘুমের আরো কিছু সহজ পদ্ধতি নিয়ে অন্য কোনো প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে।
সূত্র : সাজগোজ
কমেন্ট বক্স